রাঙামাটি প্রতিনিধি: সাড়ে তিন দশক আগে হ্রদ পাহাড়ের জেলা রাঙামাটিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলে ধরতে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যর ঝুলন্ত সেতু তৈরি করে পর্যটন করপোরেশন। দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনামও কুড়িয়েছে এই সিম্বল অব রাঙামাটি। তবে ১৯৮৬ সালে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি বিজিবি সেক্টরের পেছনের এলাকায় দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি এখন অনেকটা জরাজীর্ণ। লোহায় ধরেছে মরিচা। কাঠের পাটাতনগুলোও নড়েবড়ে।
এছাড়া প্রায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নিয়ম করে দু-তিনবার ডুবে যায় সেতুটি। এসময় সাময়িক পানিতে ডোবা থাকা অবস্থায় সেতুতে চলাচল নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ। পানি নামলে এরপর আবারও সংস্কার শেষে খুলে দেয়া হয়। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের আয়ের অন্যতম দিক হলো এই ঝুলন্ত সেতু। তবে বছরের একটা সময়ে ডুবে থাকায় সেতু দেখতে এসে হতাশ হন পর্যটকরা। অন্যদিকে লোহার মরিচা ধরা ও নড়েবড়ে কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে ঝুঁকি।
জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির নিয়মানুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে ১২০ এমএসএল জলসীমার মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে কাপ্তাই হ্রদে ১০৯ মীনস সী লেভেল (এমএসএল) পানি ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ১০৩-৪ এমএসএল পানি হলেই ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতুটি। ‘অপরিকল্পিত’ভাবে নির্মাণের ফলে হ্রদে পানি বাড়লেই ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, আমাদের আয়ের অন্যতম উৎস ঝুলন্ত সেতু।আমি রাঙামাটিতে আসার পর সেতুটির ব্যাপারে বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি। বর্ষা মৌসুমে সেতুটি প্রায়শই ডুবে যায়। সাময়িক আমরা যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও পানি নামার পর পাটাতন সংস্কার করে আবার চালু করি। তবে আগের সেতুটি এখন আর উপরে তোলার সুযোগ নেই। কিছু করতে হলে নতুন করে উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন করে ঝুলন্ত সেতু করার অবস্থাও আমাদের নেই। এটি করতে হলে কোনো উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বা ট্যুরিজম বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে।